মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩

বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফনের পর জানা গেল পরিচয়

সংবাদদাতা: ঈশ্বরদীর পাকশী রেল স্টেশন থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। পরে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হয়।

দাফনের পর জানা যায়, মৃত ব্যক্তি ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর গ্রামের পানের দোকানদার মধু হোসেনের ছেলে আজাদ (৪০)।

পরিবারের লোকজন জানান, আজাদ শুক্রবার সারাদিন ও রাতে বাড়িতে আসেনি। ট্রেনে কেটে মারা যাওয়ার বিষয়টি পাবনায় মরদেহ দাফনের পর জানতে পারেন।

আজাদের স্ত্রী শাহানাজ বেগম জানান, শনিবার আজাদ বাড়িতে ফেরেনি। তার কাছে কোনো ফোন না থাকায় খোঁজ নিতে পারিনি। বিকেলে লোকমারফত জানতে পারি তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) থানার ইনচার্জ মিহির রঞ্জন দেবনাথ জানান, শনিবার পাকশী রেল স্টেশনের পাশ থেকে দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করি। পরিচয় না পাওয়ায় পাবনায় ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হয়।

তিনি বলেন, মৃতের পরিচয় শনাক্ত করতে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙ্গুলের ছাপ মেলানোর চেষ্টা করা হয়। তার আঙ্গুলের ছাপ কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মেলেনি। পরিচয় জানা সম্ভব না হওয়ায় তাকে দাফন করা হয়।

তিনি বলেন, রবিবার সকালে মৃত আজাদ হোসেনের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আজাদের মৃত্যু নিয়ে তাদের নানা অভিযোগের বিষয় শুনেছি। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


শেয়ার করুন