জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পুরুষদের অনুপস্থিতিতে মুখোশ পড়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত বৃদ্ধা আসমা খাতুনকে (৫৫) রক্তাক্ত করার ৭ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আর এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করায় আসামিরা নিহতের পরিবারটিকে এলাকা ছাড়া করতে ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করার ঘটনা ঘটিয়েছে।
আজ রবিবার নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহত আসমা খাতুন পাবনা ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়ার আব্দুল হামিদ মালিথার স্ত্রী
বাদী শামসুজ্জামান জানান, গত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার আব্দুর রহমান মালিথা, বিশা মালিথা, জসিম মালিথা, শুকচাঁদ মালিথা, চঞ্চল মালিথা, শিহাব মালিথাসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জন মুখোশ পরে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে দেশি ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। হামলাকারীরা বাড়ির বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে দেন। অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। এই সময় বৃদ্ধা আসমার খাতুনের নিকট ছেলে ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী তমা খাতুন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন
এই সময় বৃদ্ধা আসমা খাতুন বিছানা থেকে উঠে আসলে আসামিরা তাকে বেদম প্রহার করেন। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার রাতে আসমা খাতুন মারা যায়।
মামলার বাদী শামুসজ্জামানের চাচাতো ভাই শিক্ষক সেলিম রেজা জানান, হামলার ঘটনায় ওই রাতে থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করা হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।
এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তির যোগসাজছে পরিবারটিকে এলাকা ছাড়া করতে আসামিরা ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরিবারটির বিরুদ্ধে নানা রকম বিষদগার করে সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, বৃদ্ধা আসমা খাতুনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২-৩জন অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন ওই মহিলার ছেলে শামসুজ্জামান। শনিবার রাতে আহত আসমা খাতুন মারা যান। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তির যোগসাজছে পরিবারটিকে এলাকা ছাড়া করতে আসামিরা ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরিবারটির বিরুদ্ধে নানা রকম বিষদগার করে সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, বৃদ্ধা আসমা খাতুনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২-৩জন অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন ওই মহিলার ছেলে শামসুজ্জামান। শনিবার রাতে আহত আসমা খাতুন মারা যান। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।
আজ রবিবার নিহতের স্বজনদের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পূর্বের দায়ের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ

